২ এপ্রিল যেসব ক্লাস সংসদ টিভিতে। দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সব স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় গত ২৯ মার্চ সকাল থেকে সংসদ টিভিতে 'আমার ঘরে আমার ক্লাস’ শিরোনামে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস সম্প্রচার শুরু হয়েছে।
করোনার বন্ধে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে টিভিতে পাঠদান চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধায়নে সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। সহযোগিতা করছে এটুআই, ব্যানবেইসসহ অন্যান্যরা।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টিভিতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। দীর্ঘ ছুটিতে লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার মধ্যে রাখার সরকারি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, সংসদ টিভিতে বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে ক্লাস সম্প্রচার করা হবে। সকাল ৯ টা থেকে ৯ টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ৯ টা ২৫ মিনিট থেকে ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্লাস প্রচার করা হবে।
সকাল ৯ টা ৫০ মিনিট থেকে ১০ টা ১০ মিনিট পর্যন্ত সপ্তম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ১০ টা ১০ মিনিট থেকে ১০ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাস প্রচার করা হবে।
সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিট থেকে ১০ টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত অষ্টম শ্রেণির গণিত এবং ১০ টা ৫৫ মিনিট থেকে ১১ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান ক্লাস প্রচার করা হবে।
বেলা ১১ টা ২০ মিনিট থেকে ১১ টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ১১ টা ৪০ মিনিট থেকে ১২ টা পর্যন্ত নবম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস প্রচার করা হবে।
শিক্ষার্থীরা সংসদ টিভিতে এসব ক্লাস দেখতে পারবেন। এছাড়া দৈনিক শিক্ষা ডটকমের অরিজিনাল ফেসবুক পেজ এবং দৈনিক শিক্ষা ডটকমের অফিশিয়াল ফেসবুক গ্রুপে সরাসরি ক্লাস সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটুআইয়ের ফেসবুক পেজে ক্লাস সম্প্রচার করা হবে।
পাঠকের জন্য সংসদ টিভিতে ক্লাস প্রচারের রুটিনটি তুলে ধরা হলো।
টেলিভিশনে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালিত বিষয়ভিত্তিক ক্লাস দেখলেই কাজ শেষ নয়। টিভিতে প্রচারিত প্রতিটি ক্লাসের পর দেয়া হবে বাড়ির কাজ। আর প্রতিটি বিষয়ের আলাদা খাতায় সেই বাড়ির কাজ শেষ করতে হবে। করোনার তাণ্ডব শেষ হলে যখন স্কুল খোলা হবে তখন শিক্ষকদের সেই বাড়ির কাজের খাতা দেখাতে হবে। বাড়ির কাজের প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে।
যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ততদিনই টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বাসায় অবস্থান করেই ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই সংসদ টেলিভিশনে রেকর্ড করা শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ততদিনই টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বাসায় অবস্থান করেই ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই সংসদ টেলিভিশনে রেকর্ড করা শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উৎস: দৈনিকশিক্ষা।
0 মন্তব্য(গুলি):